হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন – রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের ঘর সমূহকে গোরস্থানে পরিণত করো না। (মুসলিম শরীফ)
ব্যাখ্যা:
হাদিসের মধ্যে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, তোমরা তোমাদের ঘরকে গোরস্থান বানাবে না। এর উদ্দেশ্য হল যেরূপ গোরস্থানে শুধু মানুষ থাকে। কিন্তু তার মধ্যে আল্লাহর জিকির এবাদত এবং সূরা বাকারা তেলাওয়াত হয় না।
অনুরূপভাবে ঘরে শুধু তোমরা থাকবে , কিন্তু ঘরে কোন আল্লাহর জিকির এবাদাত ও সূরা বাকারা তেলাওয়াত হবে না, তোমরা করবে না। বরং তোমরা তোমাদের ঘরে নামাজ কায়েম করবে এবং আল্লাহর জিকির ও সূরা বাকারা তেলাওয়াতে সর্বদা লিপ্ত থাকবে ।
সুতরাং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ জিনিসের দিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, যে ঘরে আল্লাহর জিকির এবং সূরা বাকারা তেলাওয়াত হয় ঐ ঘর সবচেয়ে উত্তম এবং সুবিধাজনক ঘর। কেননা শয়তান ঐ ঘর থেকে পালায় এবং শয়তানের প্রতারণা থেকেও ঐ ঘর মুক্ত থাকে এবং ঐ ঘর আল্লাহর রহমত ও বরকতের দরজা খোলার কারণ হয়।
কুরআনের শীর্ষস্থান হল সূরা বাকারা
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে তিনি বলেছেন, প্রত্যেক জিনিসের একটি শীর্ষ স্থান রয়েছে। আর কুরআনের শীর্ষ স্থান হল সূরা বাকারা এবং প্রত্যেক জিনিসের একটি সংক্ষিপ্ত সারমর্ম রয়েছে। কুরআনের সংক্ষিপ্ত সারমর্ম হল মুফাসসাল সূরা সমূহ। (দারেমী)
ব্যাখ্যা:
সূরা বাকারা সবথেকে মর্যাদাবান সূরা। কেননা সুরা বাকারার মধ্যে আল্লাহর হুকুম আহকাম ও বিধি বিধান রয়েছে। সূরা হুজরাত হতে কুরআনের শেষ পর্যন্ত সূরা সমূহ কে মুফাসসাল সূরা বলে এবং সমস্ত কুরআন সংক্ষিপ্ত ভাবে মুফাসসাল সূরার মধ্যে আছে।
সুরা বাকারার শেষের দিকের আয়াতসমূহে নারীদের শিক্ষা দেওয়ার হুকুম:
জুবায়ের ইবনে নুফায়ীর (রহ.) বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা সূরা বাকারাকে এমন দুটি আয়াত দ্বারা সমাপ্ত করেছেন যা আমাকে আল্লাহর আরশের নিচে দান করা হয়েছে
সুতরাং তোমরা তা শিক্ষা করবে এবং তোমাদের নারীদেরকে ও তা শিক্ষা দিবে কেননা তাতে রয়েছে ক্ষমা প্রার্থনা আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় ও দোয়া। (দারেমী মুরসালরূপে)